২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে পিসিপির আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক
আরিফুল ইসলাম মহিন -খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার ১৩ই ডিসেম্বর ২০২৪ ০৫:১৩ অপরাহ্ন
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে পিসিপির আহ্বান

২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার রুটিনের তারিখ পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জাতিসত্তাসমূহের ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব ‘বৈ-সা-বি’র সময়কালের সাথে মিলে যাওয়ায়, পরীক্ষা রুটিন পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)। পিসিপি শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে অন্তর্বরর্তীকালীন সরকার এবং শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে এই আবেদন জানিয়েছে।


বিবৃতিতে পিসিপি নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিবছরের মতো ২০২৫ সালেও ১২ এপ্রিল থেকে শুরু হবে ‘বৈ-সা-বি’ উৎসব, যা পাহাড়ি জাতিসত্তাসমূহের ঐতিহ্যবাহী একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক অনুষ্ঠান। এই সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, মুরুং, খুমি, সাঁওতালসহ ১৫টি জাতিসত্তার মানুষ ঐতিহ্য অনুযায়ী নববর্ষ পালন করেন। কিন্তু ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী ১৩ এপ্রিল এবং ১৫ এপ্রিল যথাক্রমে বাংলা ২য় পত্র ও ইংরেজি ১ম পত্রের পরীক্ষা রাখা হয়েছে, যা ওই উৎসবের সময়ের সাথে অমিল। 


পিসিপি নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এই রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী উৎসবের সময় আনন্দঘন পরিবেশে উৎসব পালন করতে পারবে না, যা তাদের জন্য এক ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করবে। তারা জানান, এই পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য শিক্ষামন্ত্রণালয়কেই দায়ী করা উচিত, কারণ পরীক্ষার রুটিন তৈরির সময় ‘বৈ-সা-বি’ উৎসবের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। 


পিসিপি নেতৃবৃন্দ সরকারের কাছে ‘বৈ-সা-বি’ উৎসবকে সরকারি সাধারণ ছুটির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও ঐক্য তুলে ধরার জন্য এই উৎসবকে সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা উচিত। তারা আরও জানান, ২০২৫ সালের ছুটির তালিকায় ‘বৈ-সা-বি’ উৎসব উপলক্ষে দুই দিন ঐচ্ছিক ছুটি রাখা হলেও, এটি পাহাড়ের শিক্ষার্থীরা এবং কর্মজীবী মানুষদের জন্য যথেষ্ট নয়। তাদের মতে, এই ছুটি সাধারণ ছুটির সাথে যুক্ত করে বাড়ানো উচিত, যাতে পাহাড়ি জনগণ নিজের বাড়িতে গিয়ে উৎসব পালন করতে পারে।


শেষে, পিসিপি নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি ১৩ ও ১৫ এপ্রিলের এসএসসি পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তন এবং ‘বৈ-সা-বি’ উৎসবকে ৫ দিনের সরকারি ছুটির আওতায় আনার জন্য জনগণের পক্ষ থেকে জোর দাবি জানান।