রাজধানীতে শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা কমলেও নাগালের বাইরে বেশিরভাগ পণ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: শুক্রবার ২৯শে নভেম্বর ২০২৪ ১০:১৬ পূর্বাহ্ন
রাজধানীতে শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা কমলেও নাগালের বাইরে বেশিরভাগ পণ্য

রাজধানীতে শীতের আগমন উপলক্ষে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বাড়লেও, অনেক সবজির দাম এখনো নাগালের বাইরে রয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, উৎপাদন বৃদ্ধি না হওয়ায় দাম কমতে সময় লাগছে, তবে শীতের প্রকোপ বাড়লে দাম আরও কমবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজির দাম আগের মতোই উচ্চমাত্রায় রয়েছে।


গত সপ্তাহের তুলনায় কিছু সবজির দাম কমেছে। যেমন, শিমের দাম ১০-২০ টাকা কমে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, মুলা ৫০ টাকা, শালগম ৮০ টাকা, গোল বেগুন ১০০ টাকা এবং লম্বা বেগুন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কচুরমুখী, ঢেঁড়শ, ঝিঙা, শশাসহ বেশ কিছু সবজির দাম বেড়েছে। বিশেষ করে কচুরমুখী ২০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, লেবুর দামও বেড়ে ১৫ থেকে ২৪ টাকা হালি হয়েছে।  


পলাশী বাজারের সবজি বিক্রেতা বলেন , শীতকালীন সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে, যার ফলে শিম, বেগুন, কপি ও মুলার দাম কিছুটা কমেছে। তবে কচুরমুখীর দাম বেড়েছে। তিনি আশা করছেন, আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে সবজির দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আসবে।


তবে রাজধানীর কাঁঠালবাগানের সরকারি চাকরিজীবী তবিবুর জানান, এক মাস ধরে সবজির দাম ৬০-১০০ টাকা রেঞ্জে চললেও বেশিরভাগই এখনো নাগালের বাইরে। তিনি বলেন, “এবারে ভেবেছিলাম সবজির দাম কমবে, কিন্তু তা হয়নি।”


এদিকে, ভোজ্যতেল ও চিনি বাজারেও কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়নি। এনবিআরের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভোজ্যতেলের মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ১০% থেকে ৫% করা হলেও তেলের দাম এখনো অপরিবর্তিত। খোলাবাজারে পামঅয়েল ১৭২ টাকা লিটার, সয়াবিন তেল ১৬৫-১৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  


চিনির বাজারে শুল্ক কমানোর পর দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে আমদানির খবরে ডিমের দাম ৫ টাকা কমে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি, নতুন আলু বাজারে এলেও দাম কমেনি। আগের মতো পুরোনো আলু ৭৫-৮০ টাকা এবং নতুন আলু ১০০-১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। 


মাছের বাজারও সপ্তাহের মধ্যে ওঠানামা করছে। মাছ বিক্রেতা নুরুল হক জানান, কিছু মাছের দাম কমলেও অন্যান্য মাছের দাম উঠানামা করছে। তিনি জানান, তেলাপিয়া, সিলভার, পাঙাশ মাছ ২০০ টাকার মধ্যে থাকলে মধ্যবিত্তরা কিনতে সক্ষম হন।


মোটের ওপর, বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পেলেও দাম নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে শীতের আগমন এবং উৎপাদন পরিস্থিতি সামনে রেখে দাম কিছুটা কমার আশা থাকলেও, এখনও বেশিরভাগ পণ্য মধ্যবিত্তদের জন্য ক্রয়ক্ষমতার বাইরে রয়েছে।