ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস ২০২৪ উপলক্ষে পটুয়াখালী সদর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে এক জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১০টায় শহীদ আলাউদ্দিন শিশুপার্কে এই সমাবেশ হয়। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মাওলানা নেছারুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুর রশিদ চুন্নু মিয়া, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি এবং সাবেক পৌর মেয়র মোশতাক আহমেদ পিনু।
বক্তাদের অভিযোগ ও আহ্বান
বক্তারা অভিযোগ করেন, গত ১৫ বছরে পটুয়াখালীর বিএনপি অফিস ১৪ বার ভাঙচুরের শিকার হয়েছে। এমনকি অফিসের ফ্যান পর্যন্ত চুরি হয়ে গেছে। তবুও নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। তারা বলেন, “আমরা রাস্তায় নামতে পারিনি, সন্তানদের খোঁজ নিতে পারিনি, তবুও জেলার মধ্যে থেকেছি। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন, কিন্তু আমরা দেশ ছাড়িনি।”
তারা পটুয়াখালীকে শান্তি ও সম্প্রীতির শহর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
অংশগ্রহণ ও পরিবেশ
সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন এবং পৌর শহরের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে অংশ নেন। সমাবেশস্থল নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখরিত ছিল। জনসমাগম এবং সুশৃঙ্খল পরিবেশে সমাবেশটি সম্পন্ন হয়।
বক্তৃতার গুরুত্ব
মাওলানা নেছারুল হক বলেন, “৭ নভেম্বর আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। এটি জাতীয় ঐক্য ও বিপ্লবের প্রতীক। বর্তমান দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে আমাদের সবাইকে সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।”
বিশেষ অতিথি আবদুর রশিদ চুন্নু মিয়া বলেন, “পটুয়াখালী বিএনপির নেতাকর্মীরা যেকোনো প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে দলের পতাকা উঁচিয়ে রেখেছেন। আগামীতে এ অঞ্চলে দলের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করা হবে।”
সমাপ্তি
জনসমাবেশটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। বক্তারা জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার এবং জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।