চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যার ঘটনায় নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা জামাল উদ্দিন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে আসামি হিসেবে।
সাইফুল ইসলামের হত্যার পর একটি নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে আদালতে আইনজীবী ও পুলিশের ওপর হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনায়। নিহত আলিফের ভাই পৃথকভাবে আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন, যার মধ্যে ১১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ তিনটি মামলা দায়ের করেছে, যার মধ্যে রয়েছে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশি পদক্ষেপের অভিযোগ। একাধিক মামলা হওয়ার পর, চট্টগ্রাম শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের বিষয়টি সামনে আসে।
এটি ঘটে ২৬ নভেম্বর, যখন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আসার পথে পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) সদস্যরা ইসকন ধর্মীয় সংগঠনের অনুসারী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন তাকে চট্টগ্রামের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর পরই ইসকন অনুসারীরা বিক্ষোভ শুরু করেন, এবং পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষের মধ্যে সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন। তিনি চট্টগ্রাম আদালতের একজন বিজ্ঞ আইনজীবী ছিলেন এবং ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হিসেবে যোগ দেন। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।
নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামের জানাজা চট্টগ্রাম শহরে দুটি দফায় এবং লোহাগাড়া উপজেলায় আরও দুটি দফায় অনুষ্ঠিত হয়। তার পরিবারের সদস্যরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেন।
এই হত্যাকাণ্ড এবং এর পরবর্তী ঘটনা চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলে ধরেছে। আদালতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং বিক্ষোভ-সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে স্থানীয় প্রশাসন এখন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।