দেশের প্রয়োজনে সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত থাকতে হবে-সেনাপ্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৭শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন
দেশের প্রয়োজনে সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত থাকতে হবে-সেনাপ্রধান

সেনাবাহিনীর সদস্যদের দেশের স্বার্থে সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালনের জন্য সদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজশাহী সেনানিবাসের প্যারেড গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারে ৭ম ‘কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট’-এর অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেন।  


সেনাপ্রধান বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকেই ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট দায়িত্বশীলতার সঙ্গে তাদের কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই রেজিমেন্টকে আরও আধুনিক ও সক্ষম করে গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।  


একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সেনাবাহিনীকে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আধুনিক যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে। সেনাসদস্যদের শৃঙ্খলা, দায়িত্বশীলতা ও কর্মদক্ষতার ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।  


অনুষ্ঠানে সেনাসদর, বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা সেনাবাহিনীর উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন বিষয়ে মতামত দেন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।  


রাজশাহী সেনানিবাসের প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনাপ্রধান পৌঁছালে সামরিক রীতি অনুযায়ী তাকে আনুষ্ঠানিক অভিবাদন জানানো হয়। এরপর তিনি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং সেনাসদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।  


এই অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধানকে ‘কর্নেল র‍্যাঙ্ক ব্যাজ’ পরিয়ে দেওয়া হয়। এটি তার নতুন দায়িত্বের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়। তিনি বলেন, এই নতুন দায়িত্ব তাকে আরও উজ্জীবিত করেছে এবং সেনাবাহিনীর উন্নয়নে তিনি নিরলসভাবে কাজ করবেন।  


বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও সামরিক সরঞ্জামের আধুনিকায়নের পাশাপাশি সদস্যদের প্রশিক্ষণের দিকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।  


সেনাপ্রধানের এই বক্তব্য বাহিনীর সদস্যদের অনুপ্রাণিত করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করেন, সেনাবাহিনীর ক্রমাগত উন্নয়ন দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।