উত্তরাঞ্চলে প্রবাহিত পাহাড়ি হিমশীতল বাতাসের সঙ্গে তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী হওয়ায় পঞ্চগড় জেলা শীতে ঢেকে গেছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) ভোরে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়, যা গতকালের ১১.৪ ডিগ্রি থেকে কম।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্রনাথ রায় জানিয়েছেন, শীতের তীব্রতা ধীরে ধীরে বাড়বে এবং রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। তিনি বলেন, "আজ ভোর ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিনে শীত আরও বাড়তে পারে।"
পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার চারপাশে কুয়াশার চাদরও জড়িয়েছে। বিশেষত গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশা ছড়িয়ে পড়ছে, যা চলাচলে অসুবিধা তৈরি করছে। তাপমাত্রার তীব্রতা বাড়তে থাকায় জেলার মানুষের কনকনে শীতে কাঁপতে শুরু করেছে।
এদিকে, শীতজনিত রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন সর্দি, কাশি, হাপানি, নিউমোনিয়া এবং অন্যান্য শীতজনিত রোগব্যাধিতে। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও তেঁতুলিয়া ৫০ শয্যা হাসপাতালসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা চলমান রয়েছে।
স্থানীয় চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শীতে সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই সময়টাতে বেশি পরিমাণে গরম কাপড় পরা, হালকা গরম পানি পান করা এবং শীতজনিত সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।
এভাবে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকলে পঞ্চগড়সহ উত্তরাঞ্চলে আরও বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে, তাই স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।