আশাশুনিতে সবজির দাম আকাশছোঁয়া, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
সচ্চিদানন্দদেসদয়, আশাশুনি উপজেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষিরা
প্রকাশিত: শনিবার ২৩শে নভেম্বর ২০২৪ ০৮:২৩ অপরাহ্ন
আশাশুনিতে সবজির দাম আকাশছোঁয়া, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সবজির দাম রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে বাজারে আসা সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম অস্বস্তি বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বাজার করা যেন এক দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। উপজেলা শহর, বুধহাটা বাজার, বড়দল বাজার, কাদাকাটি বাজার, খাজরা বাজার, দরগাপুর বাজার, তেঁতুলিয়া বাজার, পাইথলী বাজার, গোয়ালডাংগা বাজারসহ উপজেলার প্রায় সব বাজারে সবজির দাম অত্যন্ত বেশি।


বাজার সূত্রে জানা গেছে, সবজির বাজারে অস্থিরতা চলছে এবং প্রতিটি বাজারে ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, বেগুনের দাম ৭০ থেকে ৯০ টাকা, কাঁচা পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি, ঢেরশ ৫০ টাকা, কাঁচা পেপে ৪০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, সীম ৯০ টাকা, ফুল কপি ৯০ টাকা, গাজর ১৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা কেজি, লেবু ৫টি ২০ টাকা, শাক ১২ থেকে ২০ টাকা প্রতি আটি বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা কেজি, লাউ প্রতি পিচ ৪০-৫০ টাকা, এছাড়া সরিষার তেল ১৮০ থেকে ২২০ টাকা এবং সয়াবিন তেল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।


বুধহাটা বাজারের বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম জানান, বর্তমানে শাকসবজির দাম কম থাকার কথা থাকলেও সরবরাহ কম হওয়ায় বাজারে সবজি কম আসছে এবং আড়ৎ থেকে অধিক দামে কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। পাইথলী বাজারে আসা ক্রেতা আব্দুল মজিদ ও ভ্যান চালক জালাল হোসেন বলেন, “আমাদের আয়ের সঙ্গে তুলনা করলে বাজারের দামে তেমন কোনো মিল নেই। সব কিছুই আকাশছোঁয়া। খাবার কেনার পর আর কিছুই থাকে না।” 


এছাড়া, দোকানদার আবুল হোসেন জানান, পরিবহন খরচও বেড়ে গেছে, ফলে বাজারে আসা পণ্যগুলোর দাম বেড়ে যাচ্ছে। আড়ত থেকে সবজিগুলো বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, যা ভোক্তাদের ওপর চাপ ফেলছে। 


বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও, তাদের অনেকেই বাড়তি দাম দেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়। এদিকে, দাম বৃদ্ধির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। “আগে যে পরিমাণ টাকা দিয়ে বাজার করতে পারতাম, এখন তার চেয়ে অনেক বেশি খরচ হচ্ছে,” বলেন পাইথলী বাজারের এক ক্রেতা। 


বাজারে এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে, সাধারণ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী কিনতে আরও কষ্ট হবে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন।