ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্য গোয়াতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ। সেখানে পরীক্ষায় প্রতি দুজনে একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার এই রাজ্যে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার সর্বোচ্চ ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ শনাক্ত হয়। খবর সিএনএনের।
গোয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ পি রানে বলেন, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে কড়া লকডাউন জরুরি। রাজ্যটির প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো এই সর্বোচ্চ শনাক্তের হারের কথা জানিয়েছে।
ভারতের অন্যতম পর্যটন শহর গোয়া। এই রাজ্যে ১৫ লাখ মানুষের বসবাস। গত বৃহস্পতিবার রাজ্যটিতে করোনায় ৩ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ সংক্রমিত হন।
রাজ্য সরকার ঘর থেকে কাজ করতে মানুষকে উৎসাহ দিচ্ছে। রেস্তোরাঁ ও দোকানগুলো খোলার সময়ে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ১৪ হাজার ১৮৮ জন। যা একদিনে আক্রান্তের নিরিখে নতুন রেকর্ড।
এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হলো ২ কোটি ১৪ লাখ ৯১ হাজার ৫৯৮ জন।
এই নিয়ে তৃতীয় বার ভারতে দৈনিক আক্রান্ত ৪ লাখের গণ্ডি পার হলো। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ভারতে দৈনিক মৃত্যুকেও পৌঁছে দিয়েছে ৪ হাজারের দোরগোড়ায়।
বৃহস্পতিবার দেশটিতে মৃত্যু হয়েছিল ৩ হাজার ৯৮০ জনের। শুক্রবার মারা গেছেন আরও ৩ হাজার ৯১৫ জন।
এ নিয়ে ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮৩ জন। মোট মৃত্যুর সংখ্যায় মেক্সিকোকে পেছনে ফেলে এই মুহূর্তে বিশ্বের তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত।
সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে লকডাউন ও কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। তামিলনাড়ুতে দুই সপ্তাহের কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। আর কর্ণাটকে দুই সপ্তাহের লকডাউন দেওয়া হয়েছে। মণিপুরে ১৭ মে পর্যন্ত কারফিউ বাড়ানো হয়েছে।
এ বছরের জানুয়ারিতে ভারতে সবচেয়ে বড় পরিসরে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। তবে অনেক রাজ্যে টিকা নিয়ে সংকট দেখা দেয়। ফলে, টিকাদান কর্মসূচি ধীরগতিতে চলতে শুরু করে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।